অসহায়ত্ব সেটা যখন তুমি জানো তোমাকে কি করতে হবে কিন্তু তুমি তা করতে পারছো না।

জীবণের একটা সময় এসে বুঝতে পারি আমরা কত অসহায়। বিশেষত তখন যখন আমরা ভুল করি। ভুল করার সময় কেউই বুঝতে পারে না তারা কত বড় ভুল করতে যাচ্ছে। তারা এটাও জানে না এর পরিণাম কি? ভুল করা স্বাভাবিক। তবে কেউ ভুল করলে তা শুধরিয়ে না দিয়ে তার পাশে না থাকা অস্বাভাবিক।

ভুল সবাই করে, ছোট বড় সব বয়সের মানুষ ভুল করে। কেউ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয়বার একই ধরণের ভুল করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে। আর কেউ ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনের মধ্যে ডুবে গিয়ে নিজেকে খারাপ থেকে অধিকতর খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেয়। যারা ভুল থেকে শিক্ষা নেয় তারাই প্রকৃত হিউম্যান ব্যিং...

আমি আমার এতটুকু জীবণে অনেকবার পরাজিত হয়েছি, অনেকবার ডিপ্রেশনের স্বিকার হয়েছি। কিন্তু কখনোই হার মেনে নেয় নি। না কখনো নিব। যতোবার হেরেছি ততোবার নতুন উদ্মোমে শুরু করেছি, নতুন করে স্বপ্ন সাজিয়েছি, ঘুরে দাড়িয়েছি। আমার বাবা-মা কে ধন্যবাদ তারা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত না করলেও কখনো মানসিক চাপ দেন নি, কোনো কাজে (আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে) জোর করেন নি।

জীবণ একটা খরস্রোতা নদী কারণ এই নদী যেমন প্রবাহমান জীবণ ও তেমন প্রবাহমান। কখনোই থেমে থাকে না। তোমার জীবণের মালিক তুমি। এটা তোমার সম্পদ। এটাকে তুমি কিভাবে পরিচালিত করবে সেটা তুমিই ভাল জান। সুতরাং জীবণের খারাপ সময়গুলোতে অন্যের থেকে মার্জিত ব্যাবহার বা মোটিভেশনাল স্পেস আশা করা উচিৎ নয়।

ভুল করার পর আমরা বুঝতে পারি আমাদের কি করা উচিৎ ছিল আর কি নয়। তাই এখান থেকে বের হতে নিজেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে (নতুন আরেকটি ভুলের পূণ-আবৃত্তি না করে)। আর এ ব্যাপারে মোটিভেশনাল বইগুলো অনেক সাহায্যকারী হতে পারে।

মন্তব্যসমূহ