পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হতাশা কেন আসে? কেনই বা এমন প্রতিবন্ধকতা? এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি?

ভাল কিছু পেতে হলে অনেক সাধনা প্রয়োজন। রাতের পর রাত জেগে তার পেছনে প্রচুর সময় দেওয়া প্রয়োজন। সুন্দর একটা স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করা প্রয়োজন। সবাই যখন গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন তখনও কাজ করার পূর্ণ মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। তবেই প্রকৃত বিজয়ের আনন্দ অনুভব করা সম্ভব হবে। আমাদের জীবণের অনেকটা সময় আমরা "ডিপ্রেশন" এর পেছনে নষ্ট করি। অথচ সেই সময় যদি নিজেকে "ডেভেলপ" করার পেছনে ব্যায় করতাম তবে কখনোই ডিপ্রেশনের শিকারে পরিণত হতাম না। আমাদের স্কুল লাইফ থেকেই মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ভালোভাবে লেখাপড়া করতে হবে এবং তারপর ভাল চাকরি করতে হবে। কিন্তু তাদের কে বোঝাবে আজকাল স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট নামক যে ডিগ্রি দেওয়া হয় তা চাকরি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। যখন কেউ লেখাপড়া শেষ করেও চাকরির মুখ দেখে না তখন হতাশ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। বাঁচার তাগিদে কিংবা ভালো থাকার জন্য ক্যারিয়ারে কিছু করার অবশ্যই প্রয়োজন আছে তবে শুধু চাকরির পেছনেই কেন ছুটতে হবে? এক্ষেত্রে একটু ব্যাতিক্রমী পথে হাটা কি অন্যায়? সবচেয়ে বড় কথা নিজেকে শুধু একাডেমিক লেখাপড়ার মাঝে সিমাবদ্

অসহায়ত্ব সেটা যখন তুমি জানো তোমাকে কি করতে হবে কিন্তু তুমি তা করতে পারছো না।

জীবণের একটা সময় এসে বুঝতে পারি আমরা কত অসহায়। বিশেষত তখন যখন আমরা ভুল করি। ভুল করার সময় কেউই বুঝতে পারে না তারা কত বড় ভুল করতে যাচ্ছে। তারা এটাও জানে না এর পরিণাম কি? ভুল করা স্বাভাবিক। তবে কেউ ভুল করলে তা শুধরিয়ে না দিয়ে তার পাশে না থাকা অস্বাভাবিক। ভুল সবাই করে, ছোট বড় সব বয়সের মানুষ ভুল করে। কেউ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয়বার একই ধরণের ভুল করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে। আর কেউ ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনের মধ্যে ডুবে গিয়ে নিজেকে খারাপ থেকে অধিকতর খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেয়। যারা ভুল থেকে শিক্ষা নেয় তারাই প্রকৃত হিউম্যান ব্যিং... আমি আমার এতটুকু জীবণে অনেকবার পরাজিত হয়েছি, অনেকবার ডিপ্রেশনের স্বিকার হয়েছি। কিন্তু কখনোই হার মেনে নেয় নি। না কখনো নিব। যতোবার হেরেছি ততোবার নতুন উদ্মোমে শুরু করেছি, নতুন করে স্বপ্ন সাজিয়েছি, ঘুরে দাড়িয়েছি। আমার বাবা-মা কে ধন্যবাদ তারা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত না করলেও কখনো মানসিক চাপ দেন নি, কোনো কাজে (আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে) জোর করেন নি। জীবণ একটা খরস্রোতা নদী কারণ এই নদী যেমন প্রবাহমান জীবণ ও তেমন প্রবাহমান। কখনোই থেমে থাকে ন

২০১৯ কে স্বাগতম

পহেলা জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ আজ। গত রাতেই ২০১৮ বিদায় নিয়ে নতুন বছরের আগমন ঘটেছে। সেই সাথে শীত ও পাল্লা দিয়ে জানান দিচ্ছে তার হিংস্রতা। এসময় সূর্যের ছায়াতলে বসে রোদ পোহাতে কি মজাটাই না লাগে.... আজ হুমায়ন আহম্মদের মেঘের ওপর বাড়ি গল্পটি পড়ে শেষ করলাম। এটিই আমার পড়া উনার প্রথম লেখা। স্কুলে থাকা-কালীন সময়ে উনার নাম অনেক শুনেছি। শুনেছিলাম উনার লেখায় নাকি জাদু আছে কিন্তু কখনো তাঁর লেখা পড়ার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। তাই আজ যখন সুযোগটা পেলাম তখন সেটা হাতছাড়া করতে চায়নি। কলেজ লাইফে অনেক কিছুই পড়তে মন চাইবে কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত বাবা-মা এটাকে কখনোই ভাল চোখে দেখে না। তারা পড়া বলতে শুধু রসকষহীন একাডেমিক বইগুলিকেই বোঝেন। যেন এগুলো ছাড়া অন্যসব বই নয়, কাগজে মুদ্রণরত স্তুপমাত্র। এসময়টাতে বিভিন্ন ধরণের মোটিভেশনাল (অনুপ্রেরণামূলক) বই পড়তে ভাল লাগলেও টাকা দিয়ে বই কিনে বই পড়া অনেকটা আমাবর্শ্যার রাতে চাঁদ দেখার মত। তারপরও বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও ই-বুকের বহু-ব্যাবহার পাঠকদের মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। বই আমাদের প্রশান্তি দেয়, হতাশাগ্রস্থদের সঠিক পথের সন্ধান দেয় এবং চিন্তা-চেতনাকে প্রশস্ত করতে সাহায্য